মানব বিবর্তন / Human Evolution

avatar
(Edited)

images-17.jpeg

হ্যালো বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো?

মানুষের সৃষ্টি কিভাবে হয়েছে এ নিয়ে জানার আগ্রহটা সবারই অনেক বেশি। তাই মানুষের সৃষ্টি নিয়ে একটি ব্লগ লেখার চেষ্টা করলাম

মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষের জানার ইচ্ছাটা চিরকালের। চলছে প্রচুর গবেষণা, চলেছে প্রচুর আলোচনা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সঠিক কোনো তথ্য জানা যায়নি। কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবে না মানুষের সৃষ্টি টা আসলে কিভাবে হয়েছে। তাই চলছে মানুষের সৃষ্টি নিয়ে প্রচুর ধরনের মতবাদ। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা প্রায় অবসর সময়ে বসে চিন্তা করে, আসলে আমাদের সৃষ্টি হয়েছে কিভাবে? কে প্রথম মানুষ বা কিভাবে কি হয়েছে এই সম্পর্কে জানা টা অনেক বেশি জটিল প্রক্রিয়া। প্রচুর গবেষণা এবং বই-পুস্তক পাঠ এবং আলোচনার মাধ্যমে আপনি হয়তোবা একটি সামান্য ধারণা পেতে পারেন, মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে। যদিও বা এই ধারণাটা ১০০% সঠিক নয় কারণ গবেষণায় এখন পর্যন্ত ১০০% সঠিক ভাবে প্রমাণ করতে পারেনি মানুষের সৃষ্টি কোথায় থেকে এবং কিভাবে হয়েছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞানসম্মত এবং ধার্মিক বিষয়াবলী, আসলে মানুষের সৃষ্টি কিভাবে হয়েছে ?

ধার্মিক মতবাদ

প্রতিটি ধর্ম তে বলা হয়েছে যে মানুষের সৃষ্টি স্রষ্টার মাধ্যমেই হয়েছে অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি মানুষকে সৃষ্টি করছে। যেমন আমাদের মুসলমান ধর্মে আমরা বলে থাকি বা আমরা যেটা মানি সেটি হলো আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সৃষ্টি করেছে। সর্বপ্রথম মানব হযরত আদম (আঃ)। পরবর্তীতে সেখান থেকে সম্পুর্ণ মানবজাতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি মুসলমান মানুষ এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে এবং এই বিশ্বাসের উপরে তার ঈমান নির্ভর করে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং সর্বপ্রথম মানুষ হযরত আদম (আঃ)

বিজ্ঞান

বৈজ্ঞানিকভাবে অনেক ধরনের মতবাদ থাকা সত্ত্বেও সঠিক কোন মতবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও বা বিজ্ঞানী একটা ধারণা করা হয়েছে হয়তোবা শিম্পাঞ্জি অথবা গরিলা থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে। বিবর্তনের মাধ্যমে এসব পশু থেকে ধীরে ধীরে মানুষের বর্তমান মানুষের আবির্ভাব হয়েছে ।

আমরা অনেক সময় বলে থাকি যে বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে। তাই অনেকে আমরা বলে থাকি বানরের প্রজাতি। যদিও বা বানরের সাথে মানুষের মিল এর পরিমাণ খুবই কম নেই বললেই চলে। আসলে বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি এই ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল।

বিজ্ঞানীরা মানুষের কঙ্কালের গঠন এবং বিভিন্ন পশুর সাথে মিল করে যতটুকু ধারনা দিতে পেরেছে তা থেকে বুঝা যায় মানুষের সৃষ্টির নরবানর থেকে। আসলে নরবানর টা কি সেটা জানাটা আগে দরকার। সাধারণভাবে শিম্পাঞ্জি গরিলা এবং ওরাংওটাং এই তিন ধরনের প্রাণীকে আমরা নরবানর বলে থাকি। একটু খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে এই তিন ধরনের প্রাণীর লেজ নেই যদিওবা বানরের লেজ আছে। লেজ নেই এ কারণে এরা মানুষের সাথে অনেকটা সাদৃশ্য এবং বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। নরবানরের সাথে মানুষের জিনের মিল সবচেয়ে বেশি। তাই বলা চলে নরবানর হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে নিকটবর্তী প্রাণী গোষ্ঠী।

images-18.jpeg

এই ধরনের অসংখ্য মিল থাকা সত্ত্বেও এটি বলা সম্ভব নয় যে নরবানর থেকে মানুষের দৃষ্টি। কারন বেশকিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। এসব পার্থক্যের কারণে এটি মোটামুটি অস্বীকার্য হয়ে পরে। এজন্য বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে এ কথাটি সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য নয় ।

মানুষ এবং নরবানরের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে কিছু পার্থক্য দেখে নেয়া যাক।

  • নরবানরের চেয়ে মানুষের মাথায় মগজ এর পরিমাণ অনেক বেশি প্রায় 1000 সিসি অথচ নরবানরের মাথায় মগজ এর পরিমাণ 650cc তাই মানুষের মগজ এবং মানুষের বুদ্ধিমত্তা অনেক বেশি।

  • মানুষের পা হাতের যে লম্বা অথচ নবায়নের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন তাদের হাত অর্থাৎ অগ্রপদ লম্বায় বেশী এবং পশ্চাত্পদ লম্বায় ছোট।

  • নরবানরের সামনের এবং পেছনের পা বাঁকা হওয়ায় তারা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না এবং হাঁটতে পারে না অথচ মানুষের নিচে পায়ের পাতাটা সমান তাই মানুষ সোজা হয়ে চলাচল করতে পারে।

  • সাধারণভাবে দেখা যায় যে যেসব নরবানর অর্থাৎ শিম্পাঞ্জি ওরাংওটাং এবং গরিলা তাদের দেহ রোম দ্বারা আবৃত অথচ মানুষের শরীরে লোমে আবৃত নয়

যাই হোক এ ধরনের অসংখ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যাতে বুঝা যায় নরবানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়নি অথবা অন্যকিছু থেকে হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। বিভিন্ন ধরনের গবেষণা এখন পর্যন্ত চলছে এবং চলতেই থাকবে তবে মানুষের সৃষ্টি কোথা থেকে হয়েছে তা বুঝে ওঠা এতটা সহজ নয়। আবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানুষের সর্ব প্রথম আবির্ভাব হয়েছিল তাই বলা চলে যে হয়তোবা এখানেই ছিল মানুষের আদি পুরুষ এবং যেহেতু এখানে বেশ কিছু কঙ্কাল পাওয়া গেছে যা সবচেয়ে পুরাতন। তাই বলা যায় যে আসলে এখানে মানুষের পূর্বপুরুষ বসবাস করেছে এবং এখান থেকেই মানুষের বিস্তার শুরু হয়েছে। পরবর্তী ব্লগে মানুষের বিবর্তন নিয়ে আরো কিছু লেখার চেষ্টা করব।

যাইহোক বিজ্ঞান যাই বলুক না কেন আমরা ধর্মে বিশ্বাসী তাই আমরা নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী মানুষের সৃষ্টি তাকে বিশ্বাস করি এবং স্রষ্টাই আমাদের সৃষ্টি করেছে তা মেনে চলি

ধন্যবাদ ব্লগ টি পড়ার জন্য

আমার সম্পর্কে আরো জানতে...

Thanks for your time

You Can find me in

Youtube

Twitter

Facebook

Instagram

Discord : #ridoykhan22#0033

e2drh4.png



0
0
0.000